প্রতিবারেই ইন্টারভিও নেয়ার পর একই অভিজ্ঞতা। ট্রেনিং ও কোর্সের ডিজাইনই জব সিকার প্লাস এন্ট্রেপ্রেনিয়রদের অপূরণীয় ক্ষতি করে। কেউ যদি ডলার ভ্যালুতে দেখাতে চায় তাহলে সেটা কয়েক মিলিয়ন ডলারের সমান।
ধরুন বাংলাদেশে ১০০০ সফটওয়্যার কোম্পানী আছে। যেখানে গড়ে ১৫ জন ডেভলপার কাজ করে। কোম্পানী প্রতিটি এমপ্লোয়ীর জন্য গড়ে প্রতি ঘন্টায় ১৫ ডলার আয় করে। প্রতিটি কোম্পানীর ১৫ জনের জন্য মাসিক ( ২০ কর্ম দিবস) আয় ১৫x ৮ x ২০ x ১৫ = ৩৬০০০ ডলার।
১০০০ কোম্পানীর মাসিক আয় ৩৬০০০০০০ ডলার আর বছরে আয় ৪৩২০০০০০০ ( চারশত বত্রিশ মিলিয়ন) ডলার। আমি যে প্রফেশনালদের যে আয়ারলী রেট ধরেছি সেটা স্টাণ্ডার্ড একটা রেট। মানে দুই বছরের অভিজ্ঞ প্রফেশনালদের এই ধরনের আওয়ারলি রেট হয়ই।
এক হাজার কোম্পানিতে ১৫ হাজার প্রফেশনাল থাকলেই এই আয় হওয়ার কথা। কত ধরনের ট্রেনিং এখানে আছে কিন্তু ১৫০০০ স্টান্ডার্ড মানের প্রোগ্রামার আছে কিনা আমার সন্দেহ। এই না থাকার বিষয়ে প্রফেশনালদের আদৌ কোন দোষ দেখি না। বরং এরা ক্ষতিক্ষস্ত পক্ষ।
নিচের কোর্সটি প্রায় ১০০০ ঘণ্টার। তার মানে যারা অংশগ্রহণ করছে তাঁরা ১০০০ ঘন্টা ক্লাসে আর আরও ৫০০ ঘন্টা হয়তো ব্যক্তিগত পড়াশুনার সময় ব্যয় করছে। শ্রম, চেস্টা, ইচ্ছা, মেধা – কোনটার ঘাটতি ছিল এদের।

এই কোর্সটা খুবই বাজে ভাবে ডিজাইন করা বলেই এরা কোন বিষয়ে এমন দক্ষ হবে না যাতে তাঁরা সহজেই হায়ার্ড হতে পারে। ৯০% কেউ ট্রাক চেঞ্জ করতে হবে। হতে চেয়েছে এক্সপার্ট প্রফেশশাল হবে ওয়ার্কার। সলিইয়ুশন ডেভেলপার হওয়ার পরিবতে হবে অন্যয়ের সলিয়ুশনের এডমিন।
৬ জনের অর্ধেক ঠিক করেছে লারাভেল ডেভলপার হতে চায়। বাকীরা যে আইটিতে কোন জব হলেই করবে। যারা লারাভেল প্রোগ্রামার হতে চায় তাদের এই কোর্স কোন ভাবেই ১৫ ডলার আয়ারলি রেটের প্রোগ্রামার হতে সাহায্য করবে না।
উলটা জব না পেয়ে তারা হতাশ হবে। লারাভেল ডেভেলপার হতে গেলে তাকে আরও বেশ কিছু কোর্স ও পড়া শুনা করতে হবে। সেটা তারা করবে কিনা আমার সন্দেহ। ১০০০ ঘণ্টা এমন কোর্স করার পর আরও ১০০০ ঘণ্টা কোর্স করার মানে হয় না?
ইউএসএ সহ নানা দেশের কোডিং একাডেমি গুলো আমি এনালাইস করে দেখেছি। এদের অধিকাংশ কোর্স ৩ মাস ব্যাপী ফুলটাইম কোর্স। ৪৮০ ঘন্টার মত। একাবারে প্রোগ্রামিং জ্ঞান নেই এমন স্টূডেন্টদের এরা প্রশিক্ষন দিয়ে ফুলস্ট্যাক প্রোগ্রামার হিসাবে তৈরি করে। যাদের বেতন ৮০০০ থেকে ১০০০ হাজার ডলারের মত হয়।
আমরা কি করছি আর কি মিস করছি তা বুঝায়ই যায়। পুরো বিষয়টা হলো প্রশিক্ষনের উপর। বাংলাদেশ যদি ভালো করতে হয় তাহলে এই প্রশিক্ষন সেনটার গুলোকে রাইটলি কোর্স ডিজাইন আর তা একজিকিউট করতে হবে।
এমন যদি হতো যে প্রোগ্রামিং ফাউণ্ডেশন, ডাটাবেইজ ডিজাইন, জাভাস্ক্রিপ্ট , ফ্রন্টএন্ড টুলস, পিইচপি নিয়ে ফাউন্ডেশন কোর্স এরপর স্পেশালাইজেশনে হয় ওয়ার্ডপ্রেস না হয় মেজেন্ট না হয় লারাভেল কিংবা অন্য ফ্রেমওয়ার্ক ভিত্তিক স্পেশালাইজেশন কোর্স তাহলে সে খুব ভালো ভাবেই কাজ করতে পারতো।
এরপর কয়েকটা প্রজেক্ট তার পর ইন্টানশীপ কিংবা জুনিয়র প্রফেশলান হিসাব ঢুকলে পড়াশুনা থেকে শুরু করে দুই বছরের মধ্যে সে সলিড একটা ক্যারিয়ার পেত। ইণ্ড্রাস্ট্রি পেতো রেডিমেট প্রফেশলানাস আর বাংলদেশ পেতো দক্ষ জনবল ভিত্তিক আইসিটি ইণ্ড্রাস্টি।