কিছু বিজনেস আছে যারা একটা ইকোসিসস্টেম তৈরি করে যাকে ঘিরে অন্যরা বিজনেস করার সুযোগ পায়। ফেসবুক, টুইটার, গুগল, আমাজনের মতো মেগা বিজনেসের কথা আমরা সবাই জানি। ছোট ছোট অনেক ইনিশিয়েটিভ আছে যেগুলোও আসলে একটা ইকোসিস্টেম তৈরি করেছে।
ডেভিড ভার্সেস গ্লোয়ার্থ ও আইসিটি ইন্ডিস্ট্রাটি নিয়ে যেই লেখাটা লিখেছিলাম সেটা এই ভেবে লিখেছিলাম যে এসোশিয়েশন, ইন্ড্রাস্ট্রি লিডার কিংবা সরকার আইসিটি ইণ্ড্রাস্ট্রিকে এগিয়ে নেয়ার অনেক কথা বলে ও চেস্টাও করে।
এই চেস্টা গুলো অনেকটা ট্র্যাডিশন্যাল স্ট্রাটেজি। ট্যাডিশনাল স্ট্রাটেজিতে কম্পিটিটর যদি ডেভিড হয় তাহলে আমাদের মতো দূর্বল, নতুন আর অনভিজ্ঞদের পক্ষে কাঙ্খিত লক্ষ্যে আদৌ যাওয়া যাবে কিনা জানি না। কেউ কেউ যাবে। সেটা ইন্ডিভিজ্যুয়ালি। ফ্যাক্ট হলো কালেক্টিভলি যাবে কিনা।
আপনি যদি খেয়াল করেন দেখবেন ব্যক্তিগত ভাবে গ্লোবাল বিজনেস করার ক্ষেত্রে আমাদের অনেক দুর্বলতা আছে। মার্কেট নলেজ নাই, ডিরেকশ নাই, অভিজ্ঞতা নাই, দক্ষতা নাই, হিউম্যান রিসোর্স নাই, ইনফ্রাস্ট্রাকচার নাই, মানুষিকতা নাই। নাইয়ের সংখ্যা এতো বেশি বলেই আমরা দূর্বল।
কেউ কেউ সবল আছে। স্ট্রাটেজিটা হলো এমন কিছু সবল তৈরি করা যাদের উপর ভিত্তি করে দুর্বলরাও বিজেনেস করার সুযোগ পাবে। খুব জটিল না বিষয়টা।
ওয়ার্ডপ্রেস ইন্ড্রাস্ট্রি থেকে একটা উদাহরণ দেই। নিনজা ফরম, ওকমার্স, জেনেসিস ফ্রেমওয়ার্ক সহ অধিকাংশ টপ লেভেল প্রোডাক্ট এনালাসিস করলে দেখবেন এই সব প্রোডাক্টকে কেন্দ্র করে অনেক সলোপ্রেনিয়র বা ছোট ছোট ব্যবসা তৈরি হয়েছে। এই ছোট ব্যবসায়ীদের অনেকের রেভেনিও মাসে লাখ ডলারের কাছাকাছিও। আর এই বিজনেস গুলোও শুরু হয়েছিলো ছোট পরিসরে। দুই/তিন মিলে হয়তো শুরু করেছে।
স্ট্রাটেজি আরেকটু স্পস্ট যদি করি তাহলে আমাদের এখানকার এন্ট্রেপ্রেনিয়রদের উৎসাহিত করা এমন প্রোডাক্ট বানাতে যা অন্যদের এক্সডেণ্ট করার সুযোগ থাকবে, আলাদা করে প্রোডাক্ট বানাবার সুযোগ থাকবে।
তাদের সেই প্রোডাক্ট গুলোকে এক্সটেণ্ড করতে ডেভেলপারদের উৎসাহিত করতে নানা ধরনের লোকাল প্রোগ্রাম ও ট্রেনিংয়ের আয়োজন করতে।তারা সেটা করবেও। এতে তারো প্রচুর লাভ। সেই বিজনেস গুলোই অনেক বড় হয় যারা অন্যদের জন্য ব্যবসার সুযোগ তৈরি করে।
এখানে যেই প্রোডাক্ট গুলোর নাম বললাম এর বাইরেও শত শত ওয়ার্ডপ্রেস আছে, স্যাস প্রোডাক্ট আছে, নানা অনলাইন টুলস/সফটওয়্যার আছে যারা নিজেরা অন্যদের বিজনেস অপরচুনিটি ক্রিয়েট করেছে, প্রচুর ইন্ডিভিজ্যুয়ালের কাজের সুযোগ করেছে।
যদি কোন এন্ট্রেপ্রেনিয়রের ভাবনায় এটা থাকে তাহলে ডেফিনিটলি সে সেই ধরনের আইডিয়া জেনারেট করতে পারবে আর প্রোডাক্টও তৈরি করতে পারবে।