একেবারে নতুন কিছু তৈরি করতে না পারলেও আমার মতে একজিস্টিং যে বিজনেস গুলো ভালো করতেছে সেই গুলোর মতো আরেকটা বিজনেস তৈরি করে তখনি সফল হওয়া সম্ভব যখন কেউ টুলসটা বানানোর পরের কাজ গুলো ঠিক মতো করতে পারবে।
পরের কাজ বলতে প্রধানত সেসল বা কাস্টোমার একুজেশন। কেউ যদি কম্পিটরদের থেকে স্মার্টলি কিছু করার মতো দক্ষ হয় তাহলে সে অবশ্যয় পরে এসেও একটা নতুন বিজনেস তৈরি করতে পারে। এই রকম প্রচুর উদাহরণ আছে।
এলিমেন্টর(elementor) হচ্ছে ওয়ার্ডপ্রেস পেইজ বিল্ডার জগতে এক নাম্বার। আসলে কম্পিটিটরদের থেকে বহু দূরে। এলিমেন্টর পেইজ বিল্ডার জগতে অনেক পরে আসছে। এর আগে অনেক ছিলো। এলিমেন্টের আগে ভিজুয়াল কম্পোজার (Visual Composer ) ছিলো অনেকটা ডিফল্ট । এখন ভিজুয়াল কম্পোজার অনেক পেছনে।
সেইম বলা যায় গ্যাবিটি ফরমের (gravityform) ক্ষেত্রে। নিনজা ফরম (ninjaform) বহু পরে এসেও গ্যাবিটী ফরমের চেয়ে ভালো করছে।
প্রথম ব্যাকলিঙ্ক এনালাইসিস টূলস ছিলো মেজেজস্টিক (majestic)। মজ (moz) পরে শুরু করেও এক নাম্বারে চলে আসছিলো। এদের সবার পরে আসছে এইচরেফস (ahrefs) । এখন এইচরেফসই নাম্বার ওয়ান।
অফলাইনে এমন কি বাংলাদেশেও প্রচুর উদাহরণ আছে। ক্যাটস আই (cats eye) ছিলো ছেলেদের ক্লথিং জগতে নামার ওয়ান ব্রান্ড। এখন প্রচুর কোম্পানী এসেছে। অনেকই ভালো করছে। সম্ভবত ওয়েস্টট্রেক (Westec) এখন ১ নাম্বার। অন্য কেউ হতে পারে। এই রকম ফার্নিচারের ক্ষেত্রেও অটোবি আগের যায়গায় নাই।
এই সব চিত্র বিজনেস ওয়ার্ল্ডে সব সময় ছিলো আর ভবিষ্যতেও থাকবে।
মূল কথা ব্যবসা তৈরির পরে এসেও করা যায় যদি কেউ ব্যবসা সফল করার জন্য পরের বিষয় গুলোতে সুপার ডুপার এক্সপার্ট হয়। পরে এসে এক্সপ্রেরিমেন্ট করে করে শিখে ভালো করার হার এতো কম যে নাই বললেও চলে।
একটা স্যাস টূলস তৈরি করার আলোচনায় এই কথা গুলো আমি বলেছিলাম। মিলিয়ে দেখতে পারেন কথা গুলো ঠিক আছে কিনা।
যারা নতুন যাদের পরের বিষয় গুলো ঠিক কি জানা নাই তারা কি ওয়েবে ছোট একটা স্যাস টুলস তৈরি করতে পারবে না? অবশ্যয় পারবে তাদের উচিত সেই ক্ষেত্রে মেন্টর/ এক্সপেরিয়েন্স পার্টনার/ কনসাল্টেন্সি নেয় যাতে করে ভুলের পরিমান উল্লেখযোগ্য হারে কমাই ফেলা যায়।
আসল কথা বিজনেস শুরুর পর ক্লায়েন্ট পেতে বা সফল হতে অনেক কিছু লাগবে। এই অনেক কিছুকে কানেক্ট করার যোগাড় করেই ব্যবসা শুরু করা উচিত। করতে পারলে সম্ভবনা হলো স্কাই ইজ দ্যা লিমিট।
সোর্সঃ ফেসবুক পোস্ট