যারা কোর্স করে, কিংবা ভার্সিটির পড়াশুনা শেষ করে তারা মনে করে তারা অনেক কিছু জানে। যা জানে তাই দিয়েই তারা প্রফেশনালি কাজ করতে পারবে। বিষয়টা আসলে কখন তেমন না।
কোর্স/ট্রেনিং/ডিগ্রি হলো নলেজ তৈরি করার জন্য। বলাবাহুল্য, কতটুকু নলেজ তৈরি করে তাতে আমাদের সবার একটা প্রশ্ন থাকে। নলেজ তৈরির পরের ধাপটা হলো অভিজ্ঞতা অর্জন। এই অভিজ্ঞতা অর্জন রিয়েল লাইফ প্রজেক্ট করেই অর্জন করতে হবে। হয় সে নিজে কিছু প্রজেক্ট করবে অথবা রিয়েল লাইফ সিটুয়েশনে সে শিখবে। কেউ যদি তাকে হায়ার করে এটা খুব ভালো বিষয়।
যতক্ষন সে এই রিয়েল লাইফ কাজ করবে না ততক্ষন তার ঐ বিষয়ে জানা টা যে কমপ্লিট না এটা অনেকই বুঝলেও তা মেনে নিতে চায় না। কারন সে যদি সেটা মানতো তাহলে সে পরের পদক্ষেপটাকে সিরিয়াসলি নিতো। সে হয় নিজে প্রজেক্টটা করতো অথবা ইন্টার্ন করতো। ইন্টার্ন রিয়েল লাইফ এক্সপেরিয়েন্সের জন্য সব চাইতে বেস্ট।
আমরা যখন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেই তখন যে সিভি গুলো পাই তাতে এমন পাই নাই বললেই চলে যে কেউ পড়াশুনা শেষ করে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য কোথাও ইন্টার্ন করছে।
ট্রেনিং ও কোর্সে কিংবা ডিগ্রিতে অর্থ ও সময় সে ঠিকি ব্যয় করেছে। এটা কিন্তু পুরো বিষয় না। অর্ধেক বিষয়। সে কেবল জ্ঞান অর্জন করলো। অভিজ্ঞতা অর্জন হলো বাকী অর্ধেক। এই অর্ধেকের জন্য সে কোন ইনভেস্ট করে না। ইনভেস্ট বলতে শ্রুম আর কিছু আর্থিক হতে পারে। অনেক কোম্পানী ইন্টার্নকে অর্থ দেয়াকে রিটার্ন অব ইনভেস্টমেণ্ট নাই এমন মনে করে।
এই জন্য ইন্টার্ন নিতে চায় না। ক্ষতিটা আমার হিসাবে চাকরী প্রার্থী ফ্রেস গ্যাজুয়েটদের। এখানে ৩-৬ মাস সময় ব্যয় করলে তার প্রোফাইলে রিয়েল অভিজ্ঞতাটা যুক্ত হতো। চাকুরী পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যেতো। অভিজ্ঞতা নাই দেখে তাকে অনেক সময় ধরেই হয়তো বেকার থাকতে হবে।
আমি অনেককে ইণ্টার্ন অফার করেছি। ইন্টার্ন কে সে চাকরী মনে করে। বেতন আশা করে। বিষয়টা লজিক্যাল ন না তাই বেতন দেয়ার প্রশ্ন আসে না। সে কিছু এলাউন্স পেতে পারে। ফুড। কনভেন্স। কিন্তু সেলারি কেন দিবে কেউ তাকে শেখানোর জন্য। এই জিনিষটা তাদের কাছে লজিক্যালই মনে হয় না।
আমার মতে কোর্স/ট্রেনিং/ডিগ্রি = নলেজ আর ইন্টার্ন= অভিজ্ঞতা মনে করে সময় ও অর্থ ইনভেস্ট করবে তাদের অবশ্যয় ক্যারিয়ার তৈরি হবে। বেশির ভাগের হয় না বা হতে দেরি হয় কারন তারা অভিজ্ঞার জন্য কোন সময় ব্যয় করতে চায় না।