আমি ২০০৬ সাল থেকেই ১০০% আউটসোর্সিং বেইজড বিজনেস করছি। নানা রকম বিজনেস মডেল নিয়ে কাজ করেছি। নানা ধরনের সার্ভিস আমরা দিয়েছি আর দিতেছি। আমি একটা জিনিষ সব সময় করেছি সেটা হচ্ছে আমাদের অভিজ্ঞতা বাড়ার সাথে সাথে বিজনেসে মডেলের পরিবর্তন। এতে নানা রকম চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন আমার হতে হয়েছে।
মূল সমস্যাই ছিল হিউম্যান রিসোর্স। আইসিটি ইন্ড্রাস্ট্রির মূল কাচামাল যেটা ( টিম মেম্বারদের স্কিল আর দক্ষতা) সেটার যদি সরবারাহ না থাকে তাহলে আমরা যে বিজনেস আইডিয়া নিয়েই কাজ করি না কেন তা হোচট খেতে বাধ্য। আমি যেহেতু চটগ্রামে থাকি আমার চ্যালেঞ্জটা ঢাকা থেকে আলাদা।
এরপর আমি যে নিশে কাজ করতেছিলাম সেটাও ফ্যাক্ট। এই বিষয়গুলোতে স্কিলড ম্যানপাওয়ার পাওয়ায় দূরহ। কোন ভার্সিটি এইসব পড়ায় না, কোন ভাল ট্রেনিং নাই ইত্যাদি। প্রথম কথা হলো চটগ্রামে কম্পিউটার সায়েন্স পড়ায় এমন মাত্র ৭/৮ টা ভার্সিটি আছে। বের হয় ৪০০/৫০০ কম্পিউটার সায়েন্স স্টুন্ডেণ্ট। এদের মধ্য ৫% প্রোগ্রামার হয় কিনা জানি না। যদিও হয় তো তারা ঢাকায় চলে যায়। ঢাকায় সম্ভবত কয়েকশ শিক্ষালয় আছে যেখানে প্রোগ্রামিং শেখানো হয়। সংখ্যার দিক থেকে বেশ ভাল একটা সাপ্লাই ঢাকায় আছে।
যদি ভুল না করি উইডেভস ছিল খুলনা বেইজড , জুমশেপারের জন্ম কুমিল্লায়। তারা যখন ঢাকায় গেলো এরপর থেকে তাদের বিজনেস উদ্ধমূখী হয়েছে। মানে তাদের আর্লি সাকসেস + ঢাকায় শিপট ছিল তাদের গ্রোথের অন্যতম কারণ। আমারও আর্লি স্টেজে বেশ ভাল সাকসেস ছিল। সত্যি বলতে ২০০৬ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত গ্রোথ ছিল জ্যামিতিক। আমি ৮ বার অফিস চেঞ্জ করছি এই সময়ে। আর ঐ সময়ের সাফল্যের উপর ভিত্তি করে বাকী ৯ বছর চলতেছি।
আমি টেক বিজনেস করবো এটাই আমার স্কিল, এক্সপার্টাইজ আর প্যাশনের সাথে যায়। আমি যা করেছি আমি সেই অর্থে এনজয় করতাম না। করার জন্য করেছি। টাকা আসছে তাই করেছি। সব সময় টার্গেট ছিল পিউর টেক। বাট হয়ে উঠেনি। এরপর চিন্তা আসলো লোকেশন ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিজনেস প্লাস হাইলি স্কেলেবল বিজনেস। আমার শুরুর দিকে যে সাফল্য আসছে আমি চাইলেও বিজনেসে ইনভেস্ট করার সুযোগ ছিল না।
আমি বিজনেসের টাকা জমি কেনায় ব্যয় করছি। আমার বিজনেস মডেল ফল্টি ছিল। তাই আমি সেটা ঠিক করার চেষ্টা করতেছিলাম। গত ৬/৭ বছর ফুল এনার্জি আর ইনভেস্টমেন্ট সেই দিকেই গেছে। বিশ্বাস ছিল কার্বটা আমার উপরের দিকে একটা সময় উঠবেই। একবার যদি উঠে আমি যে কারো থেকে এই দিক থেকে ভাল থাকবো যে আমার টিম মেম্বারদের নিয়ে মোটেই চিন্তা করতে হবে না। কারণ বিজনেসটাই গ্লোবাল ট্যালেন্ট বেইজড থাকবে।
আমার দরকার আমি যে কোন দেশ থেকে হায়ার করবো আর যে কোন যায়গা থেকে বিজনেস চালাবো। প্লাস ইনভেস্ট আর রিইনভেস্টের সুযোগ থাকবে আনলিমিটেড। আমার আরেকটা গোল ছিল সেটা হলো বিজনেস ফ্লিপিং। ভাঙ্গাচূড়া বিজনেসকে নিয়ে প্রফিটেবল করে বিক্রি করে দেয়া। বিলিভ মি স্কিলের দিক থেকে এটা টপ স্কিল।
এখনো সেখানে যাই নাই। তবে কিছু একটা শুরু হয়েছে।
সোর্সঃ ফেসবুক পোস্ট