এসইওইয়ের যতগুলো কম্পোনেন্ট সব গুলোর চাহিদা আছে আর থাকবেই। পরিবর্তন হয় রিকোয়ারমেন্ট। এইওয়ের কম্পোনেন্ট বলতে টেকনিক্যাল এসইও, অনপেইজ/অনসাইট এসইও অপটাইজেশন, কিওয়ার্ড, কনটেণ্ট এবং লিঙ্ক।
যারা ৫/৬ বছর এট লিস্ট অনলাইন ইন্ড্রাস্ট্রিতে আছে তারা এই বিষয়টা খুব ভাল ভাবে রিলেট করতে পারবে যে এসইওয়ের এই স্পেশালইজড এরিয়ার কোনটাই রিপ্লেস হয় নাই, কেবল পরিবর্তন হয়েছে। যারা এই পরিবর্তনটা আগেই বুঝে ট্রেন্ডের আগে ছিলও তারা টাকা বানিয়েয়ে আর অন্যরা যারা ফলো করেছে তারা টাকায় আয় করেছে।
টাকা বানানো আর আয় করাকে আমি এই ভাবে আলাদা করি। ভালো স্কিল থাকলে যে কেউ তার ২/৩ হাজার আয় করে এটাকে আমি টাকা আয় করা বলি আর যারা গাড়ী বাড়ী করার মতো টাকা আয় করে সেটাকে আমি টাকা বানানো বলি। এই ভাবে ভাগ করা ভুল হলেও হতে পারে । কিন্তু এই রকম যে দুইটা গ্রুপ আছে সেটা প্রায় সবাই জানে।
৮০ বিলিয়ন এসইও ইন্ড্রাস্ট্রির বিশাল অংশ ব্যয় হয় লিঙ্কের পেছনে। এই লিঙ্কের প্রয়োজন কখনই রিপ্লেস হয় নাই। যা হয়েছে তা হলো মেথডের পরিবর্তন হয়েছে। যে এই পরিবর্তন অনুযায়ী শুরু থেকে সার্ভিস দিতে পেরেছে সে টাকা বানিয়েছে। যে পরে যোগ দিয়েছে সে কিছু কিছু আয় করেছে। একদল এত পরে আসছে যে এরই মধ্যে আরেক পরিবর্তন শুরু হয়েছে।
আমার দেখা ট্রেণ্ড গুলোঃ
১) এক সময় রিসিপ্রোকেল লিঙ্ক ছিল ট্রেন্ড – তখন যারাই লিঙ্ক তৈরি করতো তারা প্রচুর আয় করেছে
২) তারপর অন-ওয়ে লিঙ্ক – পেইড লিঙ্ক প্লাস ডিরেক্টরি, আর্টিকেল, সোশ্যাল বুক মার্কিং
৩) তারপর ব্লগ নেটওয়ার্ক সাথে ওয়েব টু সাথে পিরামিড লিঙ্ক
৪) এরপর পিবিএন, গেস্ট পোস্ট
৫) আউটরিচ, স্ক্রাইক্রেপার
রিসার্চ করে দেখতে পারেন, এই ট্রেন্ড গুলোর যারা প্রথমে থেকেছে তারা প্রচুর প্রচুর অর্থ আয় করেছে।
একই বিষয় এসইওয়ের অন্য কম্পোনেন্টের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। মুল কথা এই ইন্ড্রাস্ট্রিতে টাকা আছে। থাকবেই। টাকা বানাতে না পারলেও আয় করার চান্স তাদের থাকেই যারা ট্রেন্ডে থাকে। তবে কিছু স্কিল আছে যেই গুলো এভারগ্রীন আর ফিউচারপ্রুফ। বিলিয়ন ডলারের এই ইণ্ড্রাস্ট্রিতে কেঁউ যদি পড়াশুনা করে, স্কিল বাড়াতে থাকে তার সম্ভাবনা প্রচুর এই কথা আমি নিশ্চিত করেই বলতে পারি।
আশাকরি শেয়ার ও মন্তব্য করবেন।
সোর্সঃ ফেসবুক পোস্ট