এটেনশন ডিসস্ট্রাকশন – প্রোডাক্টিভিটি নিয়ে যারা চিন্তিত তাদের জন্য মারাত্নক ক্ষতিকর কিছু বিষয় আছে।
জো পেপারসানের ( ওয়ান থিং বইয়ের লেখক) সাথে এমি পোর্টাফিল্ডের চুজিং ওয়ান থিং পোডকাস্টটি শুনতেছিলাম। এক পর্যায়ে এমি বললো যে আমি যখন কাজ করি মাথা কাজ করছে না দেখা যায় আমি আমার মোবাইলটি হাতে নেই, ইন্সট্রাগ্রাম দেখি। আবার মেইল আসেনি জানি তবু মেইল রিফ্রেস দিতেছি।
খেয়াল করে দেখলাম এই অভ্যাসটা আমারও আছে। অযথা ফোন চেক করা, যা করছি তা থামিয়ে দিয়ে ফেসবুক চেক করা, নটিফিকেশন গুলো দেখা, ইনবক্স দেখা, পোস্টের কমেন্ট পড়া। আমি শিউর এই অভ্যাস অনেকের আছে।
এটা খুবই মারাত্নক একটা সমস্যা। প্রোডাক্টিভিটি কিলার। একটা রিসার্সে দেখা গেছে যে কাজের মাঝে কোন ডিস্ট্রাকশন ঘটলে পুনরায় কাজে মনোযোগ ফিরে পেতে প্রায় ২৩ মিন ১৫ সেকেন্ড লাগে। ফেসবুকে ৩০ সেকেন্ড সময় ব্যয় করা মানে আসলে প্রায় ২৪ মিনিট। তাহলে প্রতি দিন যত বার কাজের মাঝে এই ডিস্ট্রাকশন হয় তার সাথে ২৪ মিনিট গুন করলে কত সময় নস্ট হচ্ছে তা বুঝা যায়।
বিষয়টা কিন্তু সময় নস্ট হওয়া পর্যন্ত না।
এটেনশন ডিসস্ট্রাকশন মেজাজ খারাপ, উচ্চ মানষিক চাপও ঘটায়।
এখন থেকে এটেনশন ডিসট্রাকশনের যত কারণ আছে সচেতন ভাবেই তা দেখে দুরে থাকছি। নির্দিস্ট সময় ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় কে না, কাজের সময় দুরে মোবাইল সরিয়ে রাখবো।
এমিকে জো কিছু পরামর্শ দিয়েছে। সেই গুলোও বিবেচনায় থাকবে।