ফিলিপাইন আইটি আউটসোর্সিং করে বছরে ১৮ বিলিয়ন ডলার আয় করে তাদের হিউম্যান রিসোর্সের জন্য। এটা জানতাম। বাট ওদের একটা জব সাইটে একটা এড দিয়ে বুঝেছি যে তারা ঠিক কতটা ভালো। টু বি অনেস্ট বাংলাদেশ তার আশে পাশেও নাই। আর যে ভাবে এগুচ্ছে তাতে তাদের আশে পাশে যাওয়ার কোন চান্স দেখি না।
ফুলটাইম রাইটার হিসাবে ১২ জন এপ্লাই করছে এখন পর্যন্ত তার মধ্যে ৬ জনকেই টিমে নেয়া যাবে। বাকী যারা তাদেরও নেয়া যায়। বাকী ছয় জনের মানেরও যদি আমাদের এখানে প্রফেশনাল পাওয়া যাইতো তাহলে বুঝতাম ফিলিপাইনের আশেপাসে বাংলাদেশ যাইতে পারবে।
যারা এপ্লাই করে নাই তাদের কিছু সেম্পল দেখলাম জব সাইটের সিভির ডাটাবেইজ রিসার্স করে।যারা আছে তাদের টপ ১০% কে টপ যেকোনো প্রজেক্টের জন্য হায়ার করা যাবে। ইনফ্যাক্ট তারা ইউএসএ কোম্পানী গুলোর জন্য কাজ করে।
বাকী গুলো চাইলেই মিডোক্যায়ার প্রজেক্টের জন্য নেয়া যায়।
আরেক ভাবে এনালাইসিস করা যায়- স্কিলের বৈচিত্রতা। রাইটারদের মধ্যেও অনেক স্পেশালাইজেশন আছে। এরা প্রায় সব কিছুই পারে। লিড মেগনেট তৈরি, সেলস কপি, ই-ইমেল কপি, ওয়েব পেইজ, আর্টিকেল, নিউজলেটার, এড কপি, সোশ্যাল মিডিয়া কনটেণ্ট সহ সব রকমের।
আরেকটা ডাটা পয়েন্ট – এদের অধিকাংশই নিয়মিত ভাবেই ক্লায়েন্টের জন্য কাজ করে।
যে প্রজেক্টগুলো বাংলাদেশ সরকার নিয়েছিলো সেই গুলো এই স্কিল ঘাটতি গুলো দূর করার জন্যই নিয়েছিলো বলে ধারনা করি। কিন্তু একজেকিউশন আর ট্রেনিং কোম্পানী গুলোর বদৌলতে কিছু তো হয় নাই, উল্টা ক্ষতি হলো।
এই আরেক বাস্তবতা যার কারনে বাংলাদেশ আইটিতে কখনই সেই অর্থে এগুবে না। হাতে গোনা কয়েকজন এগুতে পারে। বাট কালেক্টভলি ইণ্ডিয়া, ইউক্রেন, ফিলিপাইন যেমন এগিয়েছে সেই রকম আগাবে না যদি এই ভাবেই চলতে থাকে।