Abul Kashem

আবুল কাশেম

  • মূলপাতা
  • এবাউট
  • কেন পেপ্যাল লাগবে?

Powered by Genesis

অনলাইন কোর্স

মে 22, 2020 by Abul Kashem

শুরুর দিকে মানে ধরুন আর ৭/৮ বছর আগে খুব সহজেই অনলাইন থেকে আয় করার কোর্স গুলো নিয়ে সমালোচনা করে লিখতাম। আমি ভাবতাম এই যে সহজেই আয় করার বিষয়টি প্রমোট করছে তাতে আমাদের দেশে ইজি ইনকামটা খুব এস্টাবিলশড হয়ে যাবে আর কেউই স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য খাটাখাটি করবে না।

আমি ভাবতাম ব্রাজিলে যে ফুটবল খেলে সে ছোট বেলা থেকেই স্বপ্ন দেখে ইংলিশ বা স্প্যানিশ লিগে খেলবে। তাই সে সেভাবেই কঠিন পরিশ্রম করে নিজেকে তৈরি করে নেয়। আমাদের এখানে হয়তো বড় জোড় আবহণী বা মোহামেডানে খেলার স্বপ্ন দেখে। পরে দেখা যায় রহমত গঞ্জ বা ফরাশগঞ্জে খেলে।

যাই হোক আমি চাইতাম সবাই ভাবুক যে সে ওয়ার্ল্ড ক্লাস প্রোগ্রামার, ডিজাইনার, মার্কেটার বা এণ্ট্রেপ্রেনিয়র হবে।প্রচার, প্রচারনা কিংবা ট্রেনিং সব জায়গায় যে এই বিষয়টা নতুনদের মগজে ঢুকিয়ে দেয়া হয়। তাই ইজি ইমকাম নিয়ে কিছু দেখলে আমি সমালোচনা করতাম। আমি জানতাম সাফল্য আসলেও সেটা সাময়িক। স্থায়ী কিছু না।

একদিন রংপুর থেকে এক অনলাইন প্রফেশনাল চটগ্রামে আসছে আমার সাথে দেখা করতে। তাকে জিজ্ঞেস করলাম সে এখন কি করে। সে বললো আমি স্পোর্টস এফিলিয়েট করি। কিন্তু এখন আর ভালো কিছু করতে চাই। এসইও শিখবো। সে জানালো সে খুব কস্ট করে বড় হয়েছে। তার বাবা নাই। তার মা ও বোন মিলে কোন এক আত্নীয়ের বাসায় আশ্রয় নিয়ে থেকেছে। কোন রকমে টিকে ছিল।

আমি বললাম যা করছো তাতে আয় কেমন। ও বললো যা করছি সেটা নিয়ে আমি ভাবছি না। আমার আনন্দ আমি যা করছি তা দিয়ে ছোট একটা জায়গা মাকে কিনে দিয়ে নিজের বাড়ি করেছি। ওর ফিলিংসটা আমি বুঝেছি।

এরপর থেকে আমি কোন কোর্স নিয়ে সমালোচনা করি না। আমি সব সময় ওর কথা ভাবি। আমি ভাবি কেউ যদি মাসে দুই/তিনশ ডলার আয় করার মতো কিছু শিখে হয়তো সেটাই তার পরিবারের জন্য অনেক অনেক বড় কিছু। সমালোচনা করলে হয়তো এরা সেই সুযোগটা পাবে না। কোন কোর্সে শতভাগ সফল হয় না। কেউ না কেউ তো একটা উপায় পেয়ে যায়। হয়তো এর মধ্যে এমন কেউ থাকতে পারে যদের মাসে ১০ হাজার টাকা খুবই প্রয়োজন।

সোর্সঃ ফেসবুক পোস্ট

Filed Under: অন্যান্য

কোর্স/ট্রেনিং/ডিগ্রি = নলেজ আর ইন্টার্ন = অভিজ্ঞতা

ডিসেম্বর 23, 2019 by আবুল কাশেম

যারা কোর্স করে, কিংবা ভার্সিটির পড়াশুনা শেষ করে তারা মনে করে তারা অনেক কিছু জানে। যা জানে তাই দিয়েই তারা প্রফেশনালি কাজ করতে পারবে। বিষয়টা আসলে কখন তেমন না।

কোর্স/ট্রেনিং/ডিগ্রি হলো নলেজ তৈরি করার জন্য। বলাবাহুল্য, কতটুকু নলেজ তৈরি করে তাতে আমাদের সবার একটা প্রশ্ন থাকে। নলেজ তৈরির পরের ধাপটা হলো অভিজ্ঞতা অর্জন। এই অভিজ্ঞতা অর্জন রিয়েল লাইফ প্রজেক্ট করেই অর্জন করতে হবে। হয় সে নিজে কিছু প্রজেক্ট করবে অথবা রিয়েল লাইফ সিটুয়েশনে সে শিখবে। কেউ যদি তাকে হায়ার করে এটা খুব ভালো বিষয়।

যতক্ষন সে এই রিয়েল লাইফ কাজ করবে না ততক্ষন তার ঐ বিষয়ে জানা টা যে কমপ্লিট না এটা অনেকই বুঝলেও তা মেনে নিতে চায় না। কারন সে যদি সেটা মানতো তাহলে সে পরের পদক্ষেপটাকে সিরিয়াসলি নিতো। সে হয় নিজে প্রজেক্টটা করতো অথবা ইন্টার্ন করতো। ইন্টার্ন রিয়েল লাইফ এক্সপেরিয়েন্সের জন্য সব চাইতে বেস্ট।


আমরা যখন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেই তখন যে সিভি গুলো পাই তাতে এমন পাই নাই বললেই চলে যে কেউ পড়াশুনা শেষ করে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য কোথাও ইন্টার্ন করছে।

ট্রেনিং ও কোর্সে কিংবা ডিগ্রিতে অর্থ ও সময় সে ঠিকি ব্যয় করেছে। এটা কিন্তু পুরো বিষয় না। অর্ধেক বিষয়। সে কেবল জ্ঞান অর্জন করলো। অভিজ্ঞতা অর্জন হলো বাকী অর্ধেক। এই অর্ধেকের জন্য সে কোন ইনভেস্ট করে না। ইনভেস্ট বলতে শ্রুম আর কিছু আর্থিক হতে পারে। অনেক কোম্পানী ইন্টার্নকে অর্থ দেয়াকে রিটার্ন অব ইনভেস্টমেণ্ট নাই এমন মনে করে।

এই জন্য ইন্টার্ন নিতে চায় না। ক্ষতিটা আমার হিসাবে চাকরী প্রার্থী ফ্রেস গ্যাজুয়েটদের। এখানে ৩-৬ মাস সময় ব্যয় করলে তার প্রোফাইলে রিয়েল অভিজ্ঞতাটা যুক্ত হতো। চাকুরী পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যেতো। অভিজ্ঞতা নাই দেখে তাকে অনেক সময় ধরেই হয়তো বেকার থাকতে হবে।

আমি অনেককে ইণ্টার্ন অফার করেছি। ইন্টার্ন কে সে চাকরী মনে করে। বেতন আশা করে। বিষয়টা লজিক্যাল ন না তাই বেতন দেয়ার প্রশ্ন আসে না। সে কিছু এলাউন্স পেতে পারে। ফুড। কনভেন্স। কিন্তু সেলারি কেন দিবে কেউ তাকে শেখানোর জন্য। এই জিনিষটা তাদের কাছে লজিক্যালই মনে হয় না।

আমার মতে কোর্স/ট্রেনিং/ডিগ্রি = নলেজ আর ইন্টার্ন= অভিজ্ঞতা মনে করে সময় ও অর্থ ইনভেস্ট করবে তাদের অবশ্যয় ক্যারিয়ার তৈরি হবে। বেশির ভাগের হয় না বা হতে দেরি হয় কারন তারা অভিজ্ঞার জন্য কোন সময় ব্যয় করতে চায় না।

Filed Under: অন্যান্য, ক্যারিয়ার

আমি ভাল থাকলেই আমি ভালো থাকবো ভার্সেস সবাই ভালো থাকলে আমি ভালো থাকবো

ডিসেম্বর 23, 2019 by আবুল কাশেম

সিলিকন ভ্যালিতে সবাই এক্ট্রিমলি অনিশ্চিত প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করে। ঐখানকার উদ্যোক্তাদের মধ্যে বণ্ডিং খুব ভালো থাকে। একটা প্রতিবেদনে তাই দেখতেছিলাম।

ঐখানকার উদ্যোক্তারা সাধারনত জব, পরিবার, শহরে ছেড়ে কখনো একা অথবা ছোট একটা টিম নিয়ে কাজ করে। অনেকের এমনও হয় যে শেষ পর্যন্ত থাকা খাওয়ার টাকা থাকে না।

ফেইল করতে করতে অনেকের স্বাভাবিক জবে ফেরা অনিশ্চিত থাকে। তাই তারা একে আরেকজনকে খুব সাপোর্ট করে। একটা এন্ট্রেপ্রেনিয়র বলতেছিলো সে আরেক এণ্ট্রেপ্রেনিয়রকে বলছে দেখ তুমি যদি ফেইল করো আর আমি যদি সফল হই তবে আমি তোমাকেই প্রথম হায়ার করবো।

সাক্ষাতকারে বলছিলো আসলে এখানকার ডিএনএটাই এমন। সবাই সবার পেইনটা বুঝে। সবাই জানে অন্যজন ভালো থাকলে বা ভালো করলেই আমার ভালো করার চান্স থাকবে।

আমাদের পরিবার, সোসাইটি, কমিউনিটি, ক্লাবে, এসোশিয়েশনে বা দেশে এমন চিন্তা করতে দেখেছেন? আমি অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখি চিন্তাটা এমন, আমি কেবল আমি বাচলেই আমি বাচবো।

Filed Under: অন্যান্য

« Previous Page
Next Page »

সাম্প্রতিক প্রকাশনাসমূহ

  • ডিজিটাল মার্কেটিং বিজনেস
  • ফাইবারে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের নিয়ে ব্যাক্তিগত এনালাইসিস
  • অভারসাবস্ক্রাইব বিজনেস -১২ (ক্যাম্পেইন ড্রিবেন এন্ট্রারপ্রাইজ)
  • স্কিলের তিন লেভেল – ওকে, গুড আর গ্রেট
  • গর্ডনের শেখানোর পদ্ধতিটাই এমন যে কেউই টেরও পায় না যে একটা কোর্স চলছে

বিভাগসমূহ

  • অন্যান্য
  • অভারসাবস্ক্রাইব
  • আইসিটি ইন্ড্রাস্ট্রি
  • আউটসোর্সিং
  • এক্টিভিটি
  • এসইও
  • কনন্টেন্ট বিজনেস
  • ক্যারিয়ার
  • ব্যাবসা
  • সাফল্য

সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল

  • Facebook
  • LinkedIn
  • Twitter