Abul Kashem

আবুল কাশেম

  • মূলপাতা
  • এবাউট
  • কেন পেপ্যাল লাগবে?

Powered by Genesis

গর্ডনের শেখানোর পদ্ধতিটাই এমন যে কেউই টেরও পায় না যে একটা কোর্স চলছে

ডিসেম্বর 23, 2020 by আবুল কাশেম

১২ বছর আগে মনে হয় বিডি জবসে কনটেন্ট রাইটার হায়ার করার জন্য এড দিছিলাম। তখন কনটেণ্ট রাইটিং সম্পর্কে জব সিকারদের তেমন জানা ছিলো না। এমন কি বিডিজবস কোন ক্যাটগরিতে জবটা পোস্ট করবে সেটা নিয়ে ফোনে আলোচনা করতে হয়েছে। রেসপন্স ছিলো না তাই আর চেস্টা করি নাই হায়ার করতে।

এখন প্রচুর কনটেণ্ট রাইটার বাংলাদেশে তাই আমরা চেস্টা করছি একটা টিম তৈরি করতে। প্রায় ৪০/৫০ জন শর্ট লিস্ট করার পর ফোন ইন্টারভিওয়ের পর, গুগল মিট ইন্টারভিওয়ের পর যাদের আমরা পরবতী পেইজের জন্য নিয়েছিলাম তাদের কারো কারো রাইটিং এক্সপেরিয়েন্স থাকলেও অনেকের ছিলো না। ইংরেজীতে সবাই ভালো।

এট লিস্ট সবাই লিখতে পারে। ওয়েব রাইটিং একটা স্পেশাল বিষয়। আমাদের রিকোয়ারমেন্টটা ক্লিয়ারলি বুঝানোর জন্য আমি একটা ইনফো সেশন করেছিলাম। ঐ সেশনে যা ব্রিফ করা হইছে সবাইকে তাই নিয়ে একটা লিখা সাবমিট করতে বলা হয়েছিলো।

এর মধ্যে ২০ জনের কাছাকাছি এপ্লিকেন্ট এসাইনমেণ্ট সাবমিট করেছে। দেখাগেলো একেকজন একেকটা বিষয় হাইলাইটস করেছে। সবার সব কিছুই বুঝার প্রয়োজন আছে।

গর্ডনের স্ট্রাটেজি নিলাম। গর্ডন হলো আমার এমবিএ ক্লাসের ক্যানাডিয়ান প্রফেসর। আমি আসলে এক সেমিস্টারই করে ড্রপড। গর্ডনের স্ট্রাটেজি হলো গ্রুপ প্রজেক্ট আর এসাইনমেন্ট আর প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে শেখানো। সে সারাদিন লেকচারের পক্ষে না। পরীক্ষাও নেয় না।

কোর্সের একটা অভারভিও লেকচার দিবে কয়েকদিন। এরপর সবাইকে এসাইনমেন্ট দিবে। সাথে রেফারেন্স লিঙ্ক দিয়ে দিবে। কোথায় ইনফরমেশন পাবে সেটা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেটা হতো ওয়েবসাইট লিঙ্ক। এসাইনমেন্ট করতে গিয়ে সবাইকেই পড়তে হইতো। বুঝতে হইতো।

এসাইনমেন্টের পর দিতো গ্রুপ প্রজেক্ট, কেইস স্টাডি। সবাই নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে শিখে নিতো। প্রজেক্ট তৈরি করতো। প্রত্যেকটা গ্রুপ তাদের প্রেজেন্টেশন দিতে হতো। টপিক ভাগ করে দিতো। এতে করে কোর্সের সব বিষয় গুলো উঠে আসতো।

প্রেজেন্টেশন সবাই মনোযোগ দিয়ে দেখতো। শেখার চেস্টা করতো। প্রশ্ন করতো। সবাই আসলে সবাইকে এভাবেই পুরো কোর্সটা শিখিয়ে দিলো। কেউই টেরও পাইলো না যে কিভাবে শিখলো।

গর্ডনের থিওরিতে আমি সবাইকে প্রেজেন্টেশন দিতে বললাম। আজ প্রায় বিশ জনই প্রেজেন্টেশন দিলো। এতে করে সবাই সবাইকে সব বিষয় শেখালো। চাকরীর ইন্টারভিও দিতে এসে যা শিখে গেছে তারা কোন কোর্স থেকেই সেটা শিখতো না।

আরেকটা এসাইনমেন্ট আর প্রেজেন্টেশন দিয়েছি। তারপর আরোও একটা দিবো। এরপর রিয়েল প্রজেক্ট। একজনের প্রজেক্টের মুল্যায়ন আরেকজন করবে। সেই ধাপটা তাদের সকল রকমের দূর্বলতা দূর করবে আর বেস্ট ওয়েতে রেডি হবে।

গর্ডনের শেখানোর পদ্ধতিটাই এমন যে কেউই টেরও পায় না যে একটা কোর্স চলছে।

Filed Under: অন্যান্য

চটগ্রাম লাইভকে দেয়া সাক্ষাৎকার

অক্টোবর 11, 2020 by Abul Kashem

২০১০ সালের পরে আমার সাফল্য অন্যদের তুলনায় কিছুই না। নিজের কথা প্রয়োজন ছাড়া বলতেও ভালো লাগে না। সাবের ভাই বার বার বলতেছিলো যে আপনার কথাগুলো অনেককে হয়তো সাহায্য করতে পারে। এই যুক্তিটা জোড়ালো মনে হলো। তাছাড়া সাবের ভাইয়ের বিতর্ক নিয়ে নানারকম উদ্যোগ আমার ভালো লাগে। তাই উনাকে না বললে উনি হয়তো মন খারাপ করবে তাই রাজি হলাম।

  • এলোমেলো ভাবে বলেছি
  • আমার শুরু কথা
  • ব্যর্থতার কথা
  • বর্তমানের কথা
  • ভবিষ্যতের কথা
  • চট্রগ্রাম থেকে আইসিটি বিজনেস করার সমস্যার কথা

এছাড়া নতুনদের জন্য আছে কিছু পরামর্শ। লম্বা ভিডিও, সব শুনতে না চাইলে শেষের ৫ মিনিট শুনতে পারেন। ঐ অংশেই আসলে নতুনদের জন্য কিছু পরামর্শ আছে।

Filed Under: অন্যান্য

অনলাইন কোর্স

মে 22, 2020 by Abul Kashem

শুরুর দিকে মানে ধরুন আর ৭/৮ বছর আগে খুব সহজেই অনলাইন থেকে আয় করার কোর্স গুলো নিয়ে সমালোচনা করে লিখতাম। আমি ভাবতাম এই যে সহজেই আয় করার বিষয়টি প্রমোট করছে তাতে আমাদের দেশে ইজি ইনকামটা খুব এস্টাবিলশড হয়ে যাবে আর কেউই স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য খাটাখাটি করবে না।

আমি ভাবতাম ব্রাজিলে যে ফুটবল খেলে সে ছোট বেলা থেকেই স্বপ্ন দেখে ইংলিশ বা স্প্যানিশ লিগে খেলবে। তাই সে সেভাবেই কঠিন পরিশ্রম করে নিজেকে তৈরি করে নেয়। আমাদের এখানে হয়তো বড় জোড় আবহণী বা মোহামেডানে খেলার স্বপ্ন দেখে। পরে দেখা যায় রহমত গঞ্জ বা ফরাশগঞ্জে খেলে।

যাই হোক আমি চাইতাম সবাই ভাবুক যে সে ওয়ার্ল্ড ক্লাস প্রোগ্রামার, ডিজাইনার, মার্কেটার বা এণ্ট্রেপ্রেনিয়র হবে।প্রচার, প্রচারনা কিংবা ট্রেনিং সব জায়গায় যে এই বিষয়টা নতুনদের মগজে ঢুকিয়ে দেয়া হয়। তাই ইজি ইমকাম নিয়ে কিছু দেখলে আমি সমালোচনা করতাম। আমি জানতাম সাফল্য আসলেও সেটা সাময়িক। স্থায়ী কিছু না।

একদিন রংপুর থেকে এক অনলাইন প্রফেশনাল চটগ্রামে আসছে আমার সাথে দেখা করতে। তাকে জিজ্ঞেস করলাম সে এখন কি করে। সে বললো আমি স্পোর্টস এফিলিয়েট করি। কিন্তু এখন আর ভালো কিছু করতে চাই। এসইও শিখবো। সে জানালো সে খুব কস্ট করে বড় হয়েছে। তার বাবা নাই। তার মা ও বোন মিলে কোন এক আত্নীয়ের বাসায় আশ্রয় নিয়ে থেকেছে। কোন রকমে টিকে ছিল।

আমি বললাম যা করছো তাতে আয় কেমন। ও বললো যা করছি সেটা নিয়ে আমি ভাবছি না। আমার আনন্দ আমি যা করছি তা দিয়ে ছোট একটা জায়গা মাকে কিনে দিয়ে নিজের বাড়ি করেছি। ওর ফিলিংসটা আমি বুঝেছি।

এরপর থেকে আমি কোন কোর্স নিয়ে সমালোচনা করি না। আমি সব সময় ওর কথা ভাবি। আমি ভাবি কেউ যদি মাসে দুই/তিনশ ডলার আয় করার মতো কিছু শিখে হয়তো সেটাই তার পরিবারের জন্য অনেক অনেক বড় কিছু। সমালোচনা করলে হয়তো এরা সেই সুযোগটা পাবে না। কোন কোর্সে শতভাগ সফল হয় না। কেউ না কেউ তো একটা উপায় পেয়ে যায়। হয়তো এর মধ্যে এমন কেউ থাকতে পারে যদের মাসে ১০ হাজার টাকা খুবই প্রয়োজন।

সোর্সঃ ফেসবুক পোস্ট

Filed Under: অন্যান্য

« Previous Page
Next Page »

সাম্প্রতিক প্রকাশনাসমূহ

  • দ্যা স্প্রাউচ ডট কম কেমন আয় করে
  • এআই কনটেণ্ট রাইটিং সফটওয়্যার বাংলাদেশী অনলাইন মার্কেটাদের জন্য একধরনের আশীর্বাদ
  • এখন মূল লক্ষ্যই হওয়া উচিত গ্লোবাল ডিমান্ড অনুযায়ী প্রফেশনাল তৈরি করা
  • সফটওয়্যার আউটসোর্সিং ডেস্টিনেশন
  • এআই মার্কেট

বিভাগসমূহ

  • অন্যান্য
  • অভারসাবস্ক্রাইব
  • আইসিটি ইন্ড্রাস্ট্রি
  • আউটসোর্সিং
  • এক্টিভিটি
  • এসইও
  • কনন্টেন্ট বিজনেস
  • ক্যারিয়ার
  • ব্যাবসা
  • সাফল্য

সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল

  • Facebook
  • LinkedIn
  • Twitter