অনলাইনে বিজনেস করে এমন একজন আমাকে জিজ্ঞেস করলো যে বাংলাদেশে এমন কেউ আছে কিনা যার কাছ থেকে সে মেন্টরিং নিতে পারে। উনার সমস্যা হলো যেখানে আসছে সেখান থেকে আসলে কোন দিকে যাওয়া উচিত সেটা বুঝতে পারতেছে না। একধরনের ডিরেকশনের অভাব।
প্রাশ্চাত্যে মেন্টরিং বেশ প্রচলিত বিষয়। মেন্টোরের মেন্টর থাকে। তারও আবার মেন্টর আছে। আমাদের এখানে তেমন কিছু আছে বলে আমি জানি না। তাই কাউকে রেফার করতে পারি নাই।
উনার মতো আমারও একই সমস্যা। আমার মেন্টর দরকার আমিও পাই না। আমি রিচেন্টলি একটা পদ্ধতি নিয়েছি। এটা অনেকেই করতে পারে। আসলে মেন্টর আমরা পাবোও না আমাদের সেক্টেরে তাই উপায় হলো তাদের লেখা বই পড়া।
বই আনতে গেলে আবার সমস্যা। দামও বেশি আবার সহজে আনা যায় না। একবার ৪ টা বই কাস্টম থেকে ছুটাতে ৩০ হাজার টাকা চাইছে। সেই গুলো আর কাস্টম থেকে আনি নি।
উপায় যেটা রয়ে গেলো সেটা হলো audible.com এ সাবস্ক্রিপশন নেয়া। পপুলার সব বইয়েরই অডিবল ভার্সন আছে। সো প্রিন্ট ভার্সন না হলেও অডিও ভার্সন শুনতে পারছেন।
কোন বই পড়বেন?
বইয়ের লিস্ট নিয়ে অনেকেই লেখে। আপনি গুগলে সার্চ করে লিস্ট পাবেন। যেমন স্টার্টআপ দের জন্য মাস্ট রিড বুকস, প্রোগ্রামারদের জন্য মাস্ট রিড বুকস, এই রকম মাস্ট রিড লিস্ট আছেই। এর পর ইউটিউবে গেলে অনেক সময় বুক সামারি পাওয়া যায়। সেটা শুনে ভালো লাগলে অডিবলে শুনতে পারেন।
বই, কোর্স না করলে নলেজ ডেভেলপের কোন সুযোগ নাই। অনলাইন বিজনেস পুরাটাই নলেজ বেইজ। দুই একটা বিষয় জেনে কেউ ভালো কিছু করতে পারবে না। প্লাস ডিরেকশনও খুঁজে পাবে না। আমি যা বলছি তা সবার জন্য না। যারা অনেক দূর যেতে চায় তাদের জন্য। 🙂
কুইজঃ গড়ে একজন সিইও বছরে কয়টা বই পড়ে? (উত্তরের জন্য গুগল ব্যবহার করা যাবে। )
সোর্সঃ ফেসবুক পোস্ট