আপতত বাংলাদেশের স্বপ্ন হলো আইসিটি আউটসোর্সিং থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার বছরে আয় করা। ২০০ কোম্পানী নাকি বেসিসের মধ্যমে ইনেসেন্টিভের জন্য আবেদন করে থাকে। এর বাইরেও কিছু কোম্পানী থাকতে পারে। সংখ্যাটা খুব বেশি না।
আইসিটি আউটসোর্সিং বিজনেসের তৈরি বিশেষ করে ক্লায়েন্ট তৈরির যে প্রসেস তার কোন গাইডলাইন আইসিটি এসসোশিয়েশন বা আইসিটি লিডারদের কাছে আছে কিনা জানি না। সব কিছুর একটা প্রসেস আছে। প্রেসেস গুলো নিয়ে চাইলে এমন একটা ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করা যায় যা ফলো করে আগ্রহীরা আইসিটি আউটসোর্সিং শুরু করার একটা গাইডলাইন পাইতো। যেমন মার্কেট রিসার্চ, প্রোডাক্ট/সার্ভিস ডিজাইন, টিম/এইচআর, মার্কেটিং স্ট্রাটেজি তৈরি ইত্যাদি।
এসোশিয়েশন গুলো টি-শার্ট বিক্রি করার ডিজিটাল মার্কেপ্লেস তৈরির মত অযথা সময় নস্ট না করে এই ধরনের ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করে সব কিছুই পেতে পারে। সব কিছু মানে নিজেরা টাকা আয় করতে পারে। ফ্রেমওয়ার্ক থাকলে তার সাথে অনেক সার্ভিসও লাগে।ইমপ্লেমেন্টেশনে সাহয্য করে টাকা আয় করতে পারে। এই ধরনের বিজনেসের জন্য যে ট্রেইন্ড লোকজন লাগবে তাদের ট্রেনিং প্রোগ্রাম করে আয় করতে পারে। সাম্ভাব্য উদোক্তাদের ৫ স্টার ওয়ার্কসপ করে আয় করতে পারে।
দেশি বিদেশী এক্সপার্টদের সমন্বয়ে লার্নিং প্লাটফরম বানাতে পারে সরকারের সাথে যৌথ অনেক প্রোগ্রাম করত পারে। সেখানেও টাকা আয়ে উপায় আছে। সফল অনেক কোম্পানী তৈরি হবে সেই থেকে ক্রেডিট নিতে পারে। কোম্পানী হলে মেম্বার হবে সেই থেকে বার্ষিক চাদাঁ পাবে। আর কত কি।
এবার ভাবুন এমন একটা ফ্রেমওয়ার্ক আছে। বছর বছর ইম্প্রুভ হচ্ছে। দেশি-বিদেশী এক্সপার্টদের নিয়ে প্যানেল আছে। চাইলে তাদের কাছ থেকে পেইড মেণ্টরিং নিতে পারে। যে কেউ এই ধরনের প্রোগ্রামে মাধ্যমে সিস্টেমেটিক্যালি আউটসোর্সিং বিজনেস চেস্টা করতে পারছে। যারা চেস্টা করছে তাদের মধ্যে ১০% খুব সাকসেস ফুল।
৫ বছরের মধ্যে এদের কোম্পানী ১০০+ টিম মেম্বার আছে। পার এমপ্লোয়ি ইঙ্কাম ১৫০০ ডলার। ৩০% কোম্পানী ২০+ প্লাস টিম মেম্বার। ৩০% স্ট্রাগল করছে। ২০% কখনই সফল না। এভাবে চলতে থাকে ১০ বছরে ১০০০ এর বেশি ১০০ জন+ টিম মেম্বারের কোম্পানী হওয়া অসম্ভব কিছু না।
এবার ভাবুন কোন গাইড লাইন বা ফ্রেম ওয়ার্ক নাই। আইসিটি লিডাররা আপনাকে আগের মতো মংগল গ্রহে নাসার পারসিভারেন্সের সফল মিশনের ফলে নতুন প্রযুক্তির যে বিশাল সম্ভাবনা আছে তাই নিয়ে গল্প শুনাবে।