২০১১ সালে গুগল কনজুমার বিহেভারের উপর রিসার্চ করে এবং জিরো মোমেন্ট অব ট্রুথ শব্দটার প্রচলন করে। ZMOT (Zero Moment of Truth) হলো সেই মূহর্ত যখন একজন কনজিউমার সিদ্ধান্ত নেয় কিনবে নাকি কিনবে না। রিসার্চের ফাইন্ডিং ছিলও গড়ে একজন ক্রেতার কেনার জন্য বিক্রেতার ৪টা ভিন্ন ভিন্ন জায়গা ৭ ঘন্টা ব্যাপী ১১ টাচ পয়েন্টে ইন্টারএকশন প্রয়োজন হয়।
অনলাইনে অনেকে এড দেয়ার পর ভাবে তার কাছ থেকে কিনে ফেলবে। অনেক কিনে সেটা বায়িং সাইকেলের শেষ ধাপে থাকলে । না কেনার কারন হলো আস্থা তৈরি না হওয়া। অনলাইনে আস্থা তৈরির জন্য কোন একটা নির্দিস্ট ফ্লাটফর্মে এড দেয়া এনাফ না।
৭ ঘন্টা ইন্টারএকশন হবে কিভাবে?
- কনটেন্ট, প্লাস এডভার্টাইজমেন্ট
- কনটেন্ট = সোশ্যাল মিডিয়া আপডেট, ব্লগ, ভিডিও
- ৪ টা প্লাটফর্ম = সার্চ ইঞ্জিন, সোশ্যাল মিডিয়া, ভিডিও, ফোরাম/গ্রুপে ম্যানশন, ইন্ড্রাস্ট্রি ব্লগে নিউজ বা রেফারেন্স + কনফারেন্স, ইভেন্ট ইত্যাদি
এতে ১১টা টাচ পয়েন্টও ক্রিয়েট হয়ে যায়। (সাধ্য থাকলে ট্রাডিশনাল মিডিয়া ( নিউজ, ইলেকক্টোনিক) । যে গুলো টাচ পয়েন্ট ক্রিয়েট করতে সাহায্য করবে। )
অভারস্ক্রাইব না হওয়ার দুই নাম্বার কারনটা ছিল – আপনার ব্যবসা মানুষের কাছে
পরিচিত না, আপনি বিশ্বস্ত না আপনাকে অন্যরা পছন্দ করেছে তার প্রমাণ না থাকা।
টেকওয়ে – ( নানা ফরমেটে) কনটেণ্ট ক্রিয়েশন ও ডিজিটাল মার্কেটিংও গুরুত্বপুর্ণ আপনার অসাম প্রডাক্ট কিংবা সার্ভিস থাকার পরেও।
এক ভদ্রলোক একটা দামী ব্রান্ডের ঘড়ি কেনার জন্য তথ্য খুজতেছিলো। ঐ ঘড়ি সম্পর্কে সব কিছু মিলিয়ে সে দুই মিনিটেরে একটা ভিডিও খুঁজে পেলো। তাতে তার হলো না। সে আরও তথ্য খুঁজতে লাগলো।
অন্য একটা কোম্পানীর একটা ঘড়ির একটা ভিডিও পেলো। সেটা দেখার পর গুগলে সার্চ দিয়ে বিভিন্ন ব্লগে কিছু পোস্ট পেলো। সেই গুলোর পর প্রোডাক্ট রিভিও সাইটে ( বাই দ্যা ওয়ে আরেকটা টাচ পয়েন্ট) নানা রকম রিভিও পেলো। বিক্রেতার সাইটে কিছু কেইস স্টাডি পেলো। অতপরঃ এই ঘড়িটিই সে কিনলো যদিও তার জন্য তাকে বাজেট দ্বিগুণ করতে হয়েছিলো।
অভাবস্ক্রাইব বিজনেস – ৯
সোর্সঃ ফেসবুক পোস্ট