কীভাবে আসলে নিজের মার্কেট তৈরি করা যায়?
অভারসাবস্ক্রাইব ( ক্লায়েন্ট আপনার প্রোডাক্ট/সার্ভিস নেয়ার জন্য ভিড় করবে আপনি তাদের খুজবেন না) হওয়ার সাথে মার্কেট, ডিমান্ড আর সাপ্লাই জড়িত। বিজনেস তখনই অভারসাবস্ক্রাইব যদি ডিমান্ডের তুলনায় সাপ্লাই কম থাকে মানে যেখানে বায়ায়ের চেয়ে সেলারের সংখ্যা কম। বিজনেসে এই ধরনের একটা আইডিয়াল মার্কেটে কাজ করলে অভারসাবস্ক্রাইব হওয়ার সুযোগ থাকবে।
মার্কেট নিজের নিয়ন্ত্রনে থাকে না। মার্কেট প্রতিনিয়তই পরিবর্তন হয়।
মার্কেটে নতুন নতুন সেলার আসতে থাকে। অলটারনেটিভ সলিয়ুশন আসতে থাকে। কম সেলার বেশি বায়ার পরিস্থিতি সব সময় থাকবে না। মানে মার্কেট নিজের নিয়ন্ত্রনে থাকছে না।
একটা একজিস্টিং মার্কেটে ব্যবসা শুরু করলে প্রফিট করা খুবই কঠিন। যারা শুরু করবে তাদের একেবারে নতুন গড়ে উঠা মার্কেটে শুরু করার কথাই বিজনেস কোচরা বলে থাকেন। তবে অভারস্ক্রাইব বিজনেসের ফিলোসপি হল নিজের মার্কেট ক্রিয়েট করা।
কীভাবে আসলে নিজের মার্কেট তৈরি করা যায়?
দুইজন বিডারের গল্প
প্রখ্যাত এন্ট্রেপ্রেনিয়র গ্যারি ভিনারচ্যাক একবার একটা ওয়ার্কসপে ঘোষনা করলেন যে ওয়ার্কসপ শেষে তিনি ১ ঘন্টার একটা ওয়ান টু ওয়ান মেন্টরিং করবেন যেখানে কেবল একজনই সুযোগ পাবে। মেন্টরিং শেষ গ্যারি তার ইনার সার্কেলের সাথে তাকে পরিচয় করিয়ে দিবে।

যারা আগ্রহী তাদের এই সুযোগের জন্য বিড করতে হবে। তিনি জানালেন যে শেষবার যে সুযোগটা পেয়েছিলো সে প্রথম মাসেই ৫০ হাজার ডলার অতিরিক্ত আয় করে ছিল। বিডিং প্রাইজ ৪০০ ডলার দিয়ে শুরু হল। বেশ কয়েকজন বিড করলো। খুব দ্রুত বিড ১০০০ ডলারের পৌছে গেলো। এর মধ্যে প্রায় সবাই বিড করা বন্ধ করলো। কিন্তু দুইজন বিড করতেই থাকলো। কয়েকটা ধাপ পেরিয়ে শেষ যখন ৪০০০ ডলারের পৌছালো। এই দিকে রুমের সবাই অস্থির হয়ে উঠছিলো। গ্যারি তাই দুইজনকেই জয়ী ঘোষনা করলেন আর মেন্টরিংয়ের জন্য নির্বাচিত করলেন।
রিয়েল ভ্যালু আসলে মেন্টরিংয়ে ছিল না। তার নেটওয়ার্কের অন্যদের সাথে কানেক্ট হওয়াটাই আসল ভ্যালু । গ্যারি ওয়েল কানেক্টেড।
কতগুলো বিষয় গুরুত্বপুর্ণঃ
১) রুমের মধ্যেও অনেকে থাকলে কেবল দুই জন বিডার দরকার প্রাইজ বেড়ে যাওয়ার জন্য
২) কেউ কেউ মিস করবে। অনেকে আগ্রহী হলে তাদের সার্মথ্যের কারনে তারা মিস করবে।
৩) সবাই ভ্যালু বুঝবে না। এমন অনেকে আছে যাদের কাছে কোন প্রোডাক্ট/সার্ভিসের ভ্যালু অন্যদের চেয়ে বেশি
আপনি যখন মার্কেট ক্রিয়েট করবেন আপনি সবার কথা ভাবলে চলবে না। অনেকে আপনার প্রোডাক্ট মিস করবে। ফ্যারারি কার সব কার প্রেমিরা কিনতে চায় কিন্তু সবাই কিনতে পারে না। ফ্যারারি কার সবার জন্য তৈরি হয় না। কোম্পানি জানে অনেক মিস করবে। তবুও তারা তাদের স্টান্ডার্ড নামিয়ে তাদের জন্য বানাবে না। নিজের মার্কেট বানাবার ক্ষেত্রে এই ধরনাটা পরিস্কার থাকা খুব জরুরী।
আগের পর্ব গুলো লিখেছিলাম হাই কোয়ালীটি প্রোডাক্ট অথবা টপ কোয়ালিটি স্কিলের কথা। স্কিল বা প্রোডাক্ট এতটাই ভালো বা এক্সক্লুসিভ বানাতে হবে যে আলাদা করে নিজের একটা মার্কেট তৈরি হবে যা নির্দিস্ট একটা শ্রেণির কাছে আকর্ষনীয় থাকবে। এতে করে অনেকই আপনার প্রডাক্ট/সার্ভিস মিস করলে সমস্যা নাই।
বিঃদ্রঃ
১) এনগেজমেণ্ট মানে লেখা অন্যদের কাজে আসছে আর তাদের কাছে ভালো লাগছে। আগ্রহ কমে আসছে মনে হচ্ছে। লেখা চালিয়ে যাবো কিনা সেটা নির্ভর করবে এঙ্গেজমেন্টের(শেয়ার, কমেন্ট, লাইকের) উপর। আগ্রহ না দেখলে অবশ্যয় কষ্ট করবো না।
২) কমেন্ট গুলো নেক্সট প্লিজ টাইপের যাতে না হয়। যা জানলেন তাই নিয়ে লিখুন।
৩) বানান ভুল ইগনোর করবেন দয়া করে। ম্যাকে বাংলা লেখা খুব ঝামেলা।
সোর্সঃ ফেসবুক পোস্ট