Abul Kashem

আবুল কাশেম

  • মূলপাতা
  • এবাউট
  • কেন পেপ্যাল লাগবে?

Powered by Genesis

অভারসাবস্ক্রাইব বিজনেস -১২ (ক্যাম্পেইন ড্রিবেন এন্ট্রারপ্রাইজ)

জানুয়ারী 3, 2021 by আবুল কাশেম

যে কোন বিজনেস চায়ঃ

১ ) লাভের পরিমান বাড়াতে ২ )

নিজের পছন্দ মতো ক্লায়েণ্ট নিবে অথবা বাদ দিবে

৩) যেনো প্রিমিয়াম প্রাইচ চার্জ করতে পারে

৪) ব্যবসাটা যেনো তারা উপভোগ করতে পারে

৫) ইচ্ছা ও পছন্দ মতো সৃজনশীল হতে পারে

এই সবই সম্ভব হয় যখন তাদের যে ক্যাপাসিটী তার চেয়ে বেশি ক্লায়েন্ট থাকে। মানে যদি বিজনেস অভারসাবস্ক্রাইবড হয়। অভারসাবক্রাইবড হওয়াটা একটা প্রসেস। রিমার্কেবল প্রোডাক্ট আর আলাদা মার্কেট তৈরি নিয়ে আগে লিখেছিলাম। এই সবের পরের ইলিমেন্ট হলো আসলো মার্কেটিং।

এই মার্কেটিংটাও যদি ট্রাডিশনাল সিস্টেমে হয় তাহলে অভারসাবস্রকাইব হওয়ার সুযোগ থাকে না। সাধারণত প্রায় সব বিজনেসেই প্রসপেক্ট আর সেলস তৈরির জন্য লাইনার বা ধারাবাহিক ভাবে কাজ করে। মানে সারাবছরই মার্কেটিং করে আর ক্লায়েন্ট তৈরি করে বা করার চেস্টা করে ।

অভারস্ক্রাইবড বিজনেসের ক্ষেত্রে মার্কেটিং ও সেলসের জন্য সাজেশন হলো ক্যাম্পেইন ড্রিবেন এন্ট্রাপ্রাইজে রূপান্তরিত হওয়া। ক্যাম্পেইন ড্রিভেন এন্ট্রাপাইজ কাজ করে আলাদা ভাবে। সেলস আর মার্কেটীং প্রোগ্রাম ধারাবাহিক ভাবে না করে পুরো বছর জুড়ে কয়েকটি ধাপে করা। মানে মার্কেটিং ক্যাম্পেইন রিলিজ হবে সিরিজ আকারে।

এতে করে একটা একটা করে ক্লায়েণ্টের জন্য অপেক্ষা না করে এক সাথেই প্রয়োজনীয় ক্লায়েন্ট তৈরি করে ফেলা। অভারসাবক্রাইব হওয়া। ক্লায়েণ্ট তৈরির পরতাদের রিমার্কেবল সার্ভিস দেয়া। লাইনার পদ্ধতিতে মার্কেটিংয়ের আরেকটা সমস্যা হলো এতে কেবল বিজনেস গুলো প্রসপেক্ট আর সেলসের মধ্যে নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখে।

অন্যদিকে ক্যাম্পেইন ড্রিবেন এন্ট্রার প্রাইজ নিজের মার্কেট তৈরি করে। এতে করে একটা বিজনেসের যে পরিমান ক্লায়ান্ট দরকার তার চেয়ে বেশি তাদের থাকে। তখনি কোম্পানী ক্লায়েন্ট সিলেকশনের ক্ষেত্রে চুজি হতে পারে, প্রিমিয়াম প্রাইচ চার্জ করতে পারে, প্রফিট মার্জিন বাড়াতে পারে, কোম্পানীর ক্যাশ বাড়ে, ব্যবসা করে আনন্দ পায়। এই ক্যাম্পেইন ড্রিভেন এন্ট্রারপ্রাইজ আইডিয়াটা আমার কাছে বেশ ইন্টারিস্টিং মনে হইছে।

যদিও কনচেপ্টটা মার্কেটিংয়ের জন্য বাট আমি এটা অপারেশনেও ইউজ করছি। প্লাস সার্ভিস ডিজাইনের ক্ষেত্রেও আমি একটা ক্লিয়ার ডিরেকশন পেয়েছি বলা যায়। অভারস্ক্রাইব বিজনেসের একটা কনচেপ্ট হলো কিছু লোক আপনার সার্ভিস মিস করবেই ( some people will miss out) ।

সবাইকে সার্ভ করার চেস্টা না করা। যাদের আপনি সার্ভিস দিতে পারেন তাদের মধ্যেই নিজের একটা মার্কেট তৈরি করা। এই কনচেপ্টও আমি ইউজ করার চেস্টা করছি। ব্যবসাকে একটু স্মার্টলি করতে চাইলে আমার মতে অভারস্ক্রাইবড বইটা একটু পড়তে পারেন।

বইটা ড্যানিয়েল প্রিস্টিলির লেখা। গুগল করলেই পাবেন। আগে বইটার নাম বলি নাই কারন তাহতে কেউ আর আমার লেখা পড়তো না আমারও বিষয়টা নিয়ে এতো ভাবা হতো না। মানে আমাকে দ্বায়বদ্ধ রাখার জন্যই করি নাই।

Filed Under: অভারসাবস্ক্রাইব

জিরো মোমেন্ট অব ট্রুথ

নভেম্বর 30, 2020 by Abul Kashem

২০১১ সালে গুগল কনজুমার বিহেভারের উপর রিসার্চ করে এবং জিরো মোমেন্ট অব ট্রুথ শব্দটার প্রচলন করে। ZMOT (Zero Moment of Truth) হলো সেই মূহর্ত যখন একজন কনজিউমার সিদ্ধান্ত নেয় কিনবে নাকি কিনবে না। রিসার্চের ফাইন্ডিং ছিলও গড়ে একজন ক্রেতার কেনার জন্য বিক্রেতার ৪টা ভিন্ন ভিন্ন জায়গা ৭ ঘন্টা ব্যাপী ১১ টাচ পয়েন্টে ইন্টারএকশন প্রয়োজন হয়।

অনলাইনে অনেকে এড দেয়ার পর ভাবে তার কাছ থেকে কিনে ফেলবে। অনেক কিনে সেটা বায়িং সাইকেলের শেষ ধাপে থাকলে । না কেনার কারন হলো আস্থা তৈরি না হওয়া। অনলাইনে আস্থা তৈরির জন্য কোন একটা নির্দিস্ট ফ্লাটফর্মে এড দেয়া এনাফ না।

৭ ঘন্টা ইন্টারএকশন হবে কিভাবে?

  • কনটেন্ট, প্লাস এডভার্টাইজমেন্ট
  • কনটেন্ট = সোশ্যাল মিডিয়া আপডেট, ব্লগ, ভিডিও
  • ৪ টা প্লাটফর্ম = সার্চ ইঞ্জিন, সোশ্যাল মিডিয়া, ভিডিও, ফোরাম/গ্রুপে ম্যানশন, ইন্ড্রাস্ট্রি ব্লগে নিউজ বা রেফারেন্স + কনফারেন্স, ইভেন্ট ইত্যাদি

এতে ১১টা টাচ পয়েন্টও ক্রিয়েট হয়ে যায়। (সাধ্য থাকলে ট্রাডিশনাল মিডিয়া ( নিউজ, ইলেকক্টোনিক) । যে গুলো টাচ পয়েন্ট ক্রিয়েট করতে সাহায্য করবে। )

অভারস্ক্রাইব না হওয়ার দুই নাম্বার কারনটা ছিল – আপনার ব্যবসা মানুষের কাছে
পরিচিত না, আপনি বিশ্বস্ত না আপনাকে অন্যরা পছন্দ করেছে তার প্রমাণ না থাকা।

টেকওয়ে – ( নানা ফরমেটে) কনটেণ্ট ক্রিয়েশন ও ডিজিটাল মার্কেটিংও গুরুত্বপুর্ণ আপনার অসাম প্রডাক্ট কিংবা সার্ভিস থাকার পরেও।

এক ভদ্রলোক একটা দামী ব্রান্ডের ঘড়ি কেনার জন্য তথ্য খুজতেছিলো। ঐ ঘড়ি সম্পর্কে সব কিছু মিলিয়ে সে দুই মিনিটেরে একটা ভিডিও খুঁজে পেলো। তাতে তার হলো না। সে আরও তথ্য খুঁজতে লাগলো।

অন্য একটা কোম্পানীর একটা ঘড়ির একটা ভিডিও পেলো। সেটা দেখার পর গুগলে সার্চ দিয়ে বিভিন্ন ব্লগে কিছু পোস্ট পেলো। সেই গুলোর পর প্রোডাক্ট রিভিও সাইটে ( বাই দ্যা ওয়ে আরেকটা টাচ পয়েন্ট) নানা রকম রিভিও পেলো। বিক্রেতার সাইটে কিছু কেইস স্টাডি পেলো। অতপরঃ এই ঘড়িটিই সে কিনলো যদিও তার জন্য তাকে বাজেট দ্বিগুণ করতে হয়েছিলো।

অভাবস্ক্রাইব বিজনেস – ৯

সোর্সঃ ফেসবুক পোস্ট

Filed Under: অভারসাবস্ক্রাইব

অভারসাবস্ক্রাইবড-বিজনেস -৮

নভেম্বর 7, 2020 by Abul Kashem

স্কিল কিংবা প্রোডাক্ট যাই হউক তা এমন হতে হবে যে তার জন্য মার্কেটে সেলার কম বায়ার বেশি । বাজে প্রজেক্ট, অরিডানারি স্কিল, সেটুরেড স্কিল থাকলে কেউই কখনই অভাবস্ক্রাইবড হতে পারবে না। এর আগের লেখায় বলেছিলাম নিজের মার্কেট তৈরি করা নিয়ে।

আমরা যদি নিজেদের মার্কেট তৈরি করে নেই দেখা যায় আমরা তখন ক্লায়েন্ট চুজ করতে পারি যে কার সাথে কাজ করবো কার সাথে করবো না। ক্লায়েন্ট তখন আমাদের সার্ভিস বা প্রডাক্টের জন্য লাইন ধরবে বা অপেক্ষা করবে।

কিভাবে নিজের একটা মার্কেট তৈরি করবো, অসাধারণ প্রোডাক্ট পাবো, কিভাবে নিজের ফিল্ড লিড দিবো এই বিষয় গুলো নিয়ে আমার পড়াশুনা দরকার আছে। অনেক স্ট্রাটেজি, অনেক আইডিয়া ইউটিউবে কিংবা গুগল করলে পাওয়া যাবে। তবে দুইটা রিসোর্সের/বইয়ের কথা আমি বলতে পারি যা এই বিষয়ে সাহায্য করতে পারে

১) ব্লু ওশান স্ট্রাটেজি https://amzn.to/353UqoY
২) মাস্টারি https://amzn.to/3eAMXRv
৩) বোনাসঃ https://bit.ly/38ieg1N

লেস কনটেস্টেড মার্কেট, অসাধারন স্কিল কিংবা প্রোডাক্ট থাকার পরই কি একটা বিজনেস অভারস্ক্রাইব হবে বা সব সময় থাকবে?

না। সেই সম্ভাবনা নাই। ক্রেতা যদি আপনার উপস্থিতি না জানে সে কিভাবে আপনার কাছ থেকে কিনবে। ক্রেতার কাছে পৌঁছানোর জন্য অবশ্যয় আপনার মার্কেটিং করতে হবে। অভারস্ক্রাইব বীজনেসে সনাতন পদ্ধতিতে না করে ক্যাম্পেইন ড্রিবেন এণ্টারপ্রাইজে রুপান্তিত হয়ে মার্কেটিং করা বা সেল করার কথা বলে।

আপনি মার্কেটীং করলেন। সেটার বৈশিষ্টের অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখে অভারস্ক্রাইভব হওয়ার ক্ষেত্রে। আপনি মার্কেটিং করালেই আপনার কাছ থেকে কেউ কিনে ফেলবে না বা কেনার জন্য লাইন ধরবে না। লাইন তখনি ধরবে যখন মানুষ আপনার সম্পর্কে আগে থেকে জানবে।

এই খানে কয়েকটা বিষয় কনচেপ্ট গুরুত্বপূর্ণঃ

  • অসাম প্রোডাক্ট/সার্ভিস
  • ক্যাম্পেইন ড্রিবেন এন্টারপ্রাইজ
  • জিরো মোমেন্ট অব ট্রুথ কিংবা ৭-১১-৪ ফরমূলা

আরো কিছু বিষয় আছে সে গুলো পরে সামারাইজ করবো। পরবত্তী আলোচনা গুলো ক্যাম্পেইন ড্রিবেন এন্টারপ্রাইজ ও জিরো মোমেন্ট অব ট্রুথ কিংবা ৭-১১-৪ ফরমূলা নিয়ে হবে। আশাকরি এই দুই বিষয়ে আলোচনার পর বুঝতে পারবেন কেন আপনি অভাবস্ক্রাইবড না কিংবা আপনার প্রডাক্ট/সার্ভিস বিক্রি আপনার ক্যাপাসিটি থেকে কম।

সোর্সঃ ফেসবুক পোস্ট

Filed Under: অভারসাবস্ক্রাইব

Next Page »

সাম্প্রতিক প্রকাশনাসমূহ

  • দ্যা স্প্রাউচ ডট কম কেমন আয় করে
  • এআই কনটেণ্ট রাইটিং সফটওয়্যার বাংলাদেশী অনলাইন মার্কেটাদের জন্য একধরনের আশীর্বাদ
  • এখন মূল লক্ষ্যই হওয়া উচিত গ্লোবাল ডিমান্ড অনুযায়ী প্রফেশনাল তৈরি করা
  • সফটওয়্যার আউটসোর্সিং ডেস্টিনেশন
  • এআই মার্কেট

বিভাগসমূহ

  • অন্যান্য
  • অভারসাবস্ক্রাইব
  • আইসিটি ইন্ড্রাস্ট্রি
  • আউটসোর্সিং
  • এক্টিভিটি
  • এসইও
  • কনন্টেন্ট বিজনেস
  • ক্যারিয়ার
  • ব্যাবসা
  • সাফল্য

সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল

  • Facebook
  • LinkedIn
  • Twitter