Abul Kashem

আবুল কাশেম

  • মূলপাতা
  • এবাউট
  • কেন পেপ্যাল লাগবে?

Powered by Genesis

স্কিলের তিন লেভেল – ওকে, গুড আর গ্রেট

জানুয়ারী 3, 2021 by আবুল কাশেম

জেরড ( আমেরিকান ক্লায়েন্ট) শুরু থেকেই কোয়ালিটী রাইটিং আর ইংলিশ লেভেল নিয়ে সতর্ক ছিলো। ভালো লেখার বাজেটও সেই রকম থাকতে হবে। আমার আউটরিচ করা রাইটাদের মধ্যে সর্বোচ্চ যে প্রাইচ পেয়েছি সেটা হলো প্রতি ১০০ ওয়ার্ডের জন্য ২২ ডলার।

আমাদের কনটেণ্ট গুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ৩০০০ ওয়ার্ড। তার মানে ৩০০০ ওয়ার্ডের লেখার জন্যে এই ধরনের রাইটারকে পে করতে হবে ৬৬০ ডলার। এই মুহুর্তে যে বাজেট তাতে এই প্রাইচে আসলে কাউকে হায়ার করা সম্ভব না।

আমরা ইন্ডিয়ান একটা রাইটারকে ফুলটাইম হায়ার করেছি। গত এক বছর ধরে সে কাজ করে। তার লেখা আবার আমরা ইউএসএর একটা এডিটর দিয়ে ঠিক করে নেই। এতে করে তাকে যে টাকা দেই তার চেয়ে বেশি টাকা এডিটরকে দিতে হয়। তারপরেও লেখার মান নিয়ে জেরড কিছু মন্তব্য করেছে যা ছবিতে পাবেন।


জেরডের চাওয়া আর বাজেটের মধ্যে পার্থক্য আছে। তাই নিজেদের একটা স্ট্রাটেজি তৈরি করতে হয়েছে। নিজেরা বুঝার জন্য আমি কয়েকটা ভাগে রাইটিংকে ভাগ করে নিয়েছিঃ

  • ওকে রাইটিং
  • গুড রাইটিং
  • কোয়ালিটি রাইটিং

আমি বলেছি এই মুহুর্তে আমাদের স্ট্রাটেজি হবে ওকে রাইটিং দিয়ে গুড রাইটিংয়ে যাওয়ার জন্য আয় করা। গুড রাইটিংয়ের আয় আমরা কোয়ালিটি রাইটিংয়ে ইনভেস্ট করবো।

ওকে রাইটিং ভালো করার জন্য আপতত আমাদের সংখ্যার দিকটা চিন্তা করতে হবে। অথ্যাৎ অনেক বেশি ওকে রাইটিং আমাদের লাগবে। আমরা ছোট ছোট টপিকে অনেক বেশি সংখ্যক ওকে রাইটার দিয়ে কনটেণ্ট তৈরি করে নিবো। জেরডের স্ট্রাটেজি পছন্দ হইছে।

আসলে সব স্কিলকে মুটামুটি এই দিন ভাগে ভাগ করতে পারেনঃ

  • ওকে লেভেল
  • গুড লেভেল
  • কোয়ালিটি লেভেল

এই ওকে লেভেলে যারা থাকবে তারা কস্ট করবে বেশি আয় করবে কম। এদের প্রফেশন নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকবে বেশি। ক্লায়েন্ট পাবে অনিয়মিত ভাবে। গুড লেভেলে যারা থাকবে তারা সেইফ, স্টান্ডার্ড একটা ক্যারিয়ার তৈরি করতে পারবে। এদের আয়টাও হবে স্টান্ডার্ড।

নিয়মিত ভাবেই ক্লায়েন্ট পাবে। আর যারা গ্রেট। এরা অভারস্ক্রাইবড হবেই। এরা আসলে ঠিক করবে কার সাথে কাজ করবে আর কার সাথে করবে না। এদের ফি হবে প্রাইম। এদের লাইফে ভ্যাকেশন থাকবে, নিয়ম থাকবে, নিয়ন্ত্রন থাকবে। এদের গাড়ী বাড়ী থাকটা খুবই সাধারণ ব্যাপার।

যে যেই লেভেলে আছে তার পরের লেভেলে পৌছানোর চেস্টা থাকতেই হবে। পরের লেভেল পৌছাতে জ্ঞান অর্জন, স্কিল ডেভেলপমেন্ট, মেন্টর, গাইড, কোর্স, সেমিনার, ওয়ার্কসপ, কনফারেন্স এই সব প্রয়োজন হবে।

বাড়তি তথ্যঃ

ওকে টাইপ রাইটারদের চার্জ ১০০ ওয়ার্ডে ১ ডলার আর গুড রাইটারদের ৩ ডলার। গ্রেট রাইটারদের কথা তো আগেই বলেছি। নিজে ঠিক করেন আপনি কোন লেভেলে আছে।

Filed Under: অন্যান্য

গর্ডনের শেখানোর পদ্ধতিটাই এমন যে কেউই টেরও পায় না যে একটা কোর্স চলছে

ডিসেম্বর 23, 2020 by আবুল কাশেম

১২ বছর আগে মনে হয় বিডি জবসে কনটেন্ট রাইটার হায়ার করার জন্য এড দিছিলাম। তখন কনটেণ্ট রাইটিং সম্পর্কে জব সিকারদের তেমন জানা ছিলো না। এমন কি বিডিজবস কোন ক্যাটগরিতে জবটা পোস্ট করবে সেটা নিয়ে ফোনে আলোচনা করতে হয়েছে। রেসপন্স ছিলো না তাই আর চেস্টা করি নাই হায়ার করতে।

এখন প্রচুর কনটেণ্ট রাইটার বাংলাদেশে তাই আমরা চেস্টা করছি একটা টিম তৈরি করতে। প্রায় ৪০/৫০ জন শর্ট লিস্ট করার পর ফোন ইন্টারভিওয়ের পর, গুগল মিট ইন্টারভিওয়ের পর যাদের আমরা পরবতী পেইজের জন্য নিয়েছিলাম তাদের কারো কারো রাইটিং এক্সপেরিয়েন্স থাকলেও অনেকের ছিলো না। ইংরেজীতে সবাই ভালো।

এট লিস্ট সবাই লিখতে পারে। ওয়েব রাইটিং একটা স্পেশাল বিষয়। আমাদের রিকোয়ারমেন্টটা ক্লিয়ারলি বুঝানোর জন্য আমি একটা ইনফো সেশন করেছিলাম। ঐ সেশনে যা ব্রিফ করা হইছে সবাইকে তাই নিয়ে একটা লিখা সাবমিট করতে বলা হয়েছিলো।

এর মধ্যে ২০ জনের কাছাকাছি এপ্লিকেন্ট এসাইনমেণ্ট সাবমিট করেছে। দেখাগেলো একেকজন একেকটা বিষয় হাইলাইটস করেছে। সবার সব কিছুই বুঝার প্রয়োজন আছে।

গর্ডনের স্ট্রাটেজি নিলাম। গর্ডন হলো আমার এমবিএ ক্লাসের ক্যানাডিয়ান প্রফেসর। আমি আসলে এক সেমিস্টারই করে ড্রপড। গর্ডনের স্ট্রাটেজি হলো গ্রুপ প্রজেক্ট আর এসাইনমেন্ট আর প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে শেখানো। সে সারাদিন লেকচারের পক্ষে না। পরীক্ষাও নেয় না।

কোর্সের একটা অভারভিও লেকচার দিবে কয়েকদিন। এরপর সবাইকে এসাইনমেন্ট দিবে। সাথে রেফারেন্স লিঙ্ক দিয়ে দিবে। কোথায় ইনফরমেশন পাবে সেটা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেটা হতো ওয়েবসাইট লিঙ্ক। এসাইনমেন্ট করতে গিয়ে সবাইকেই পড়তে হইতো। বুঝতে হইতো।

এসাইনমেন্টের পর দিতো গ্রুপ প্রজেক্ট, কেইস স্টাডি। সবাই নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে শিখে নিতো। প্রজেক্ট তৈরি করতো। প্রত্যেকটা গ্রুপ তাদের প্রেজেন্টেশন দিতে হতো। টপিক ভাগ করে দিতো। এতে করে কোর্সের সব বিষয় গুলো উঠে আসতো।

প্রেজেন্টেশন সবাই মনোযোগ দিয়ে দেখতো। শেখার চেস্টা করতো। প্রশ্ন করতো। সবাই আসলে সবাইকে এভাবেই পুরো কোর্সটা শিখিয়ে দিলো। কেউই টেরও পাইলো না যে কিভাবে শিখলো।

গর্ডনের থিওরিতে আমি সবাইকে প্রেজেন্টেশন দিতে বললাম। আজ প্রায় বিশ জনই প্রেজেন্টেশন দিলো। এতে করে সবাই সবাইকে সব বিষয় শেখালো। চাকরীর ইন্টারভিও দিতে এসে যা শিখে গেছে তারা কোন কোর্স থেকেই সেটা শিখতো না।

আরেকটা এসাইনমেন্ট আর প্রেজেন্টেশন দিয়েছি। তারপর আরোও একটা দিবো। এরপর রিয়েল প্রজেক্ট। একজনের প্রজেক্টের মুল্যায়ন আরেকজন করবে। সেই ধাপটা তাদের সকল রকমের দূর্বলতা দূর করবে আর বেস্ট ওয়েতে রেডি হবে।

গর্ডনের শেখানোর পদ্ধতিটাই এমন যে কেউই টেরও পায় না যে একটা কোর্স চলছে।

Filed Under: অন্যান্য

নতুন বিজনেস আইডিয়া নাই তবুও কি একটা স্যাস বিজনেস তৈরি করে সফল হওয়া সম্ভব?

ডিসেম্বর 17, 2020 by Abul Kashem

একেবারে নতুন কিছু তৈরি করতে না পারলেও আমার মতে একজিস্টিং যে বিজনেস গুলো ভালো করতেছে সেই গুলোর মতো আরেকটা বিজনেস তৈরি করে তখনি সফল হওয়া সম্ভব যখন কেউ টুলসটা বানানোর পরের কাজ গুলো ঠিক মতো করতে পারবে।

পরের কাজ বলতে প্রধানত সেসল বা কাস্টোমার একুজেশন। কেউ যদি কম্পিটরদের থেকে স্মার্টলি কিছু করার মতো দক্ষ হয় তাহলে সে অবশ্যয় পরে এসেও একটা নতুন বিজনেস তৈরি করতে পারে। এই রকম প্রচুর উদাহরণ আছে।

এলিমেন্টর(elementor) হচ্ছে ওয়ার্ডপ্রেস পেইজ বিল্ডার জগতে এক নাম্বার। আসলে কম্পিটিটরদের থেকে বহু দূরে। এলিমেন্টর পেইজ বিল্ডার জগতে অনেক পরে আসছে। এর আগে অনেক ছিলো। এলিমেন্টের আগে ভিজুয়াল কম্পোজার (Visual Composer ) ছিলো অনেকটা ডিফল্ট । এখন ভিজুয়াল কম্পোজার অনেক পেছনে।

সেইম বলা যায় গ্যাবিটি ফরমের (gravityform) ক্ষেত্রে। নিনজা ফরম (ninjaform) বহু পরে এসেও গ্যাবিটী ফরমের চেয়ে ভালো করছে।

প্রথম ব্যাকলিঙ্ক এনালাইসিস টূলস ছিলো মেজেজস্টিক (majestic)। মজ (moz) পরে শুরু করেও এক নাম্বারে চলে আসছিলো। এদের সবার পরে আসছে এইচরেফস (ahrefs) । এখন এইচরেফসই নাম্বার ওয়ান।

অফলাইনে এমন কি বাংলাদেশেও প্রচুর উদাহরণ আছে। ক্যাটস আই (cats eye) ছিলো ছেলেদের ক্লথিং জগতে নামার ওয়ান ব্রান্ড। এখন প্রচুর কোম্পানী এসেছে। অনেকই ভালো করছে। সম্ভবত ওয়েস্টট্রেক (Westec) এখন ১ নাম্বার। অন্য কেউ হতে পারে। এই রকম ফার্নিচারের ক্ষেত্রেও অটোবি আগের যায়গায় নাই।

এই সব চিত্র বিজনেস ওয়ার্ল্ডে সব সময় ছিলো আর ভবিষ্যতেও থাকবে।

মূল কথা ব্যবসা তৈরির পরে এসেও করা যায় যদি কেউ ব্যবসা সফল করার জন্য পরের বিষয় গুলোতে সুপার ডুপার এক্সপার্ট হয়। পরে এসে এক্সপ্রেরিমেন্ট করে করে শিখে ভালো করার হার এতো কম যে নাই বললেও চলে।

একটা স্যাস টূলস তৈরি করার আলোচনায় এই কথা গুলো আমি বলেছিলাম। মিলিয়ে দেখতে পারেন কথা গুলো ঠিক আছে কিনা।

যারা নতুন যাদের পরের বিষয় গুলো ঠিক কি জানা নাই তারা কি ওয়েবে ছোট একটা স্যাস টুলস তৈরি করতে পারবে না? অবশ্যয় পারবে তাদের উচিত সেই ক্ষেত্রে মেন্টর/ এক্সপেরিয়েন্স পার্টনার/ কনসাল্টেন্সি নেয় যাতে করে ভুলের পরিমান উল্লেখযোগ্য হারে কমাই ফেলা যায়।

আসল কথা বিজনেস শুরুর পর ক্লায়েন্ট পেতে বা সফল হতে অনেক কিছু লাগবে। এই অনেক কিছুকে কানেক্ট করার যোগাড় করেই ব্যবসা শুরু করা উচিত। করতে পারলে সম্ভবনা হলো স্কাই ইজ দ্যা লিমিট।

সোর্সঃ ফেসবুক পোস্ট

Filed Under: ব্যাবসা

« Previous Page
Next Page »

সাম্প্রতিক প্রকাশনাসমূহ

  • ডিজিটাল মার্কেটিং বিজনেস
  • ফাইবারে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের নিয়ে ব্যাক্তিগত এনালাইসিস
  • অভারসাবস্ক্রাইব বিজনেস -১২ (ক্যাম্পেইন ড্রিবেন এন্ট্রারপ্রাইজ)
  • স্কিলের তিন লেভেল – ওকে, গুড আর গ্রেট
  • গর্ডনের শেখানোর পদ্ধতিটাই এমন যে কেউই টেরও পায় না যে একটা কোর্স চলছে

বিভাগসমূহ

  • অন্যান্য
  • অভারসাবস্ক্রাইব
  • আইসিটি ইন্ড্রাস্ট্রি
  • আউটসোর্সিং
  • এক্টিভিটি
  • এসইও
  • কনন্টেন্ট বিজনেস
  • ক্যারিয়ার
  • ব্যাবসা
  • সাফল্য

সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল

  • Facebook
  • LinkedIn
  • Twitter