Zappos সিইও টনি শেই তাঁর তার ডেলিভারিং হ্যাপিনেস বইতে তাঁর সকুল জীবনের একটা ঘটনা লেখার সুযোগ হাত ছাড়া করে নাই। তাকে একবার অন্যের লাঞ্চ কার্ড চুরির জন্য দোষী করা হয়েছিলো। টনি লিখেছে যে সে বুঝতেই পারছিলো না কেন আর কিভাবে অন্যের লাঞ্চ কার্ড তাঁর পকেটে আসলো।
অনেক রকম করেই ঘটনাটা সে ভাবতে লাগলো। শেষে সে ঠিক করলো এমন হতে পারে যে কাউন্টারের লোকটী হয়তো ভুলে অন্যের কার্ড তাকে দিয়ে দিছিলো। সে ভাবলো সে যেহেতু ইচ্ছাকৃত কাজটি করে নাই সে টিচারদের জুরিবোর্ডে বুঝিয়ে বললেই তাঁর সত্যটা বুঝবে। দেখা গেলো তারা তাঁর কথায় কনভিন্স হলো না।
তাকে দোষী করা হলো আর একদিনের জন্য সকুল থেকে বহিস্কার করা হলো। এটা তাঁর সকুল রেকর্ডে লিপিবদ্ধ হলো।
টনি শে লেখাটা এই কারনে লিখছে যে সত্যি হলেও সে সবাইকে বুঝাতে ব্যর্থ হয়েছে। কারন এই সত্যটা প্রতিষ্ঠিত করতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন তার দূর্বলতার কারনে। টনির যে কথাটা গুরুত্বপূর্ণ তা হলো কেবল সত্যটা যথেস্ট না, সত্যের সাথে উপস্থাপনাও গুরুত্বপূর্ণ।
এমন অনেকের সাথে নিশ্চয় অনেক ঘটনা ঘটে যে গুলোর জন্য দোষী না হয়েও শুধু মাত্র যথাযথ উপস্থাপনার কারনেই শাস্তি পেতে হয়। সবাই তো টনি শেই হবে না যে কোন দিন বই লিখবে আর সুযোগ পেলেই সেই শাস্তি পাওয়ার কস্টটা কোটি কোটি মানুষকে জানাতে পারবে